
দুটি পাতা একটি কুড়ি হযরত শাহজালালের পূন্যভূমি ৩৬০ আউলিয়ার দেশ সিলেট পবিত্র নগরী। সিলেট জকিগঞ্জ মহাসড়কের প্বার্শে শাহগলি বাজারের দক্ষিণ পশ্চিম প্রান্তে সুরমা নদীর তীরে অবস্থিত অতি প্রাচীনতম বিদ্যাপীট বারহাল এহিয়া উচ্চবিদ্যালয়। ডাক-বারহাল,উপজেলা-জকিগঞ্জ,জেলা-সিলেট।
ইহা ১৯৩০ ইং সনে এম.ই মাদ্রাসা ছিল এবং মাত্র ৫৩ শতক ভূমির উপর নির্মিত হয়েছিল, অপরটি অফিস কক্ষ যা আজও কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। ১৯৪৫ ইং সনে বিদ্যালয় প্রতিষ্টা লাভ করে। হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার জুলশোকা গ্রামের কৃতি সন্তান তৎকালীন করিমগঞ্জ মহকুমার এস.ডি.ও জনাব ইয়াহিয়া খাঁন চৌধুরীর দৃষ্টি গোচর হলে পূর্ব পরিচিতি সিলেট (আসাম) পূর্ব পাকিস্তান (শিক্ষা) ১৯৪৭ইং সনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। (জনশিক্ষা উপ পরিচালক আদেশ নং ৫/৩৭৪৬/প্র-৩৬২ তাং-০৬/০৭/১৯৪৭ইং)জনাব, ইয়াহিয়া খাঁন চৌধুরীর স্ত্রী ২ পুত্র ৪ মেয়ে সহ আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। দুই পুত্র (১) জনাব জাকিয়া জাকারিয়া খাঁন এর এরশাদ সরকারের আমলে মন্ত্রী ছিলেন (২) মোনায়েম খাঁন পাকিস্তান আমলের সচিব ছিলেন। চার জন মেয়ের জামাই উচ্চ পদে আসীন ছিলেন যেমন- জনাব সালাউদ্দিন স্বরাষ্ট্র সচিব (পাকিস্তান আমল) বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পরিচালক জনাব, সুলতান আহমদ (নেভি চিফ),স্যার ফজলে হাসান আবেদ (ব্রাক প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান)।
বিদ্যালয় ভূমি দাতা হিসেবে খিল গ্রামরে গর্বিত সন্তান জনাব মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ পিতা- মাস্টার মশাররফ আলী গ্রাম-খিলগ্রাম, ডাক-বারহাল,উপজেলা-জকিগঞ্জ,জেলা-সিলেট তিনি ৪২ শতক ভূমি ১৯৩০ইং সনে প্রদান করে (১৯৩৯ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত )রেকর্ড ভূক্ত হয় এবং বিদ্যালয় ভূমির মালিকানাধীন হয়। অত্র বিদ্যালয়ে ছোট একটি পাঞ্জেগানা রয়েছে যেখানে ছাত্রীরা নিয়মিত নামাজ পড়ে দাতা ছিলেন
জনাব, মোহাম্মদ খসরুল ইসলাম চৌধুরী পিতা- মৃত সাতির আলী চৌধুরী গ্রাম-খিলগ্রাম,ডাক-বারহাল,উপজেলা-জকিগঞ্জ,জেলা-সিলেট। তিনি আনুমানিক ৭৫০০০/= টাকা ব্যয় করে তা তৈরী করেন।
তাছাড়া বিদ্যালয়ের মাঠে পরিবেষ্ঠিত একটি শহীদ মিনার রয়েছে, বারহালের কৃতি সন্তান সিলেট জেলা পরিষদের সম্মানিত মহিলা সদস্য জনাব সাজনা সুলতানা হক চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমরা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা সভাপতি ও জেলা মহানগর আওয়ামীলগের সম্মানিয় সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মাসুক উদ্দিন আহমদ তাঁরই কর্ম প্রেরনায় উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সম্মাণিত সদস্যবর্গ মোট ১১ জন তাদের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে । বলা আবশ্যক যে, পাকিস্থান আমল থেকে অত্র বিদ্যালয়টি ছিল জকিগঞ্জ উপজেলার ১ম স্বীকৃতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। বিদ্যালয়ের প্রথম সভাপতি ছিলেন জনাব ইয়াহিয়া খাঁন চৌধুরী মেয়াদ কাল ০১/০২/১৯৩৯ থেকে ৩১/১২/১৯৪৭ইং বিদ্যালয় স্বীকৃতি লাভের পর অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল মোট-৭২ জন। মেট্রিকুলেশন পরীক্ষা দেন মাত্র ০৭ জন, শিক্ষক সংখ্যা ছিলেন ০৪ জন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প ছিল অত্র বিদ্যালয়ে এবং দেশ স্বাধীন হবার পর সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সৈন্যরা পূড়ে ছাই করে দেয়।পরবর্তীতে সে তথ্য বা রেকর্ড খুজে পাওয়া যায়নি।বর্তমান স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহোদয় সহ সকল সদস্যবর্গের ও শিক্ষক বৃন্ধের আন্তরিক প্রচেষ্ঠার ফলে ফলাফল অর্জন, শিখন-শেখানো কৌশল, বিজ্ঞানাগার,লাইব্রেরী, বঙ্গবন্ধু ও মুজিব কর্নার, শেখ রাসেল দেয়ালিকা, শেখ রাসেল কর্ণার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম সহ সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উজ্জ্বল প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে।
সর্বোপরী এই এলাকার সম্মাণিত ব্যাক্তিবর্গ সহ যারা বিদ্যালয়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এবং পারলৌকিক জগতের সান্নিধ্যে চলেগেছেন তাদের সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং অত্র বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নতি কামনা করছি।